রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে শতশত যানবাহন।
ফরিদপুরের আটরশি জাকের মঞ্জিলের ওরস শেষ হওয়ার ফলে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এই ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাবউদ্দিন।
বুধবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়ায় গিয়ে দেখা যায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার অংশ জুড়ে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক এবং দৌলতদিয়া থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ের ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশ জুড়ে অপচনশীল পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকের সারি রয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, গাড়ির চাপ বেশি থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল দ্রব্য পরিবহনকারী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারা করা হচ্ছে।
মিজানুর নামের এক ট্রাক চালক জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে ফেরির সিরিয়ালে দাঁড়িয়েছি। বুধবার দুপুর হয়ে আসলেও দৌলতদিয়া পুলিশ বক্স অতিক্রম করতে পারেনি। এখান থেকে ঘাটের দূরত্ব আরো ১ কিলোমিটার।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা রয়েল পরিবহনের চালক জানান, মঙ্গলবার রাত ১১ টাই ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের খানখানাপুর থেকে তিনি ফেরির সিরিয়ালের জন্য দাঁড়িয়েছেন। এখনো ফেরির নাগাল পেতে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হবে।
ময়মনসিংহ থেকে ওরসে আসা আব্দুর হাকিম মোল্লা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় বসে থাকতে থাকতে অবসাদ কাজ করছে। ১০-১২ ঘণ্টা হয়ে গেল এই যানজটে। কখন ফেরিতে উঠতে পারব জানি না।’
বিআইডাব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: শিহাবউদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ১৯ টি ফেরি চলাচল করছে। আজকে বিকেলের মধ্যে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।